ইমতিয়াজ সাহেব ও যোদ্ধা জ্বিনের প্রতিজ্ঞা ভয়ঙ্কর ভূতের গল্প । jiner bhooter golpo 2024
যোদ্ধা জ্বিনের প্রতিজ্ঞা ভয়ঙ্কর ভূতের গল্প
ঘটনাটি দিনাজপুরের কোন একটি জায়গার।তবে নির্দিষ্ট করে জায়গাটার নাম বলা যায়নি।আর সময়টা আনুমানিক 1960-65মানে মুক্তিযুদ্ধের আগে আর কি সময়টাও নিশ্চিতভাবে বলা যায়নি।কারণ মারুফ হাসান সান ভাইয়ের যে বন্ধু উনি ঘটনাটি শেয়ার করেছেন সেও ওইভাবে বলতে পারে নাই । তবে ওইটা একটা প্রত্যন্ত গ্রামের ঘটনা দিনাজপুরের এতটুকু বলতে পেরেছেন।তবে যার সাথে ঘটনাটি ঘটেছে তার নামটা জানা গিয়েছিল তবে নামটা একটু ভাষাভাষা তবে,যতটুকু বোঝা যায় তার নাম ইমতিয়াজ নামের কোন একজন ব্যক্তি হয়তোবা হতে পারেন ।আমরা ইমতিয়াজ নামটাই দিচ্ছি তো ইমতিয়াজ সাহেব একজন মুদি ব্যবসায়ী ছিলেন উনি ছিলেন খুবই ভালো একজন মানুষ চারিত্রিক গুণসম্পন্ন একজন মানুষ।
আল্লাহর ইবাদত থেকে শুরু করে দুনিয়াবী সকল কাজকর্ম তিনি নিষ্ঠার সাথে পালন করতেন একজন আদর্শ ব্যবসায়ী হিসেবে । আশেপাশে ১০ গ্রামে তিনি সুপরিচিত ছিলেন। কোনদিন ওজনে কম বেশি করা ভেজাল জিনিস বিক্রি করা এই টাইপের কোন রেকর্ড তার বংশ পরম্পরায় ছিল না ।তিনিও সেই ঐতিহ্যটাকে ধরে রেখেছিলেন এইজন্য আগ্রহ করেই মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তার কাছ থেকেই কিনতো , তার দোকান থেকে মাল কেনার জন্য দীর্ঘ লাইন লেগে যেত ভিড় লেগে যেত তারপরও
মানুষ পারতপক্ষে অন্য দোকানে যেত না । উনি দামও যেমন তুলনামূলক কম রাখতেন ভালো জিনিসটাও বিক্রি করতেন । তো উনার তিন সন্তান ছিল উনার স্ত্রী বাবা-মা সব মিলিয়ে সাত সদস্যের এক সুখের পরিবার । উনি বংশ পরম্পরায় সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের আর ধনীও ছিলেন। আর মুদি ব্যবসা তাকে করতেই হবে এমন কোন জোরাজুরি ছিল না । তার কৃষি জমি ছিল সেখান থেকেও পর্যাপ্ত আয় তার হতো মূলত মানুষকে উপকার করা মানুষকে ভালো জিনিসটা খাওয়ানো
ওজনে ঠিক দেয়া এই বিষয়টাকে উনি খুব পছন্দ করতেন। আর এটা উনার একটা শখ এবং নেশার মত হয়ে গিয়েছিল । যার কারণে অন্যদিক থেকে তার পর্যাপ্ত আয় হলেও কৃষি জমি বা অন্যান্য সাইড থেকে পর্যাপ্ত আয় হলেও উনি এই মুদি সেটা করতে একটা অন্য ধরনের আনন্দ পেতেন। এমন অনেকদিন গিয়েছে যে কোন ভিক্ষুক চাল ডাল কিনতে এসেছে তার কাছে টাকা নাই বা এমন কোন লোক এসেছে দেখা গিয়েছে তার কাছে যে টাকা আছে মাল কেনার পরে দেখা গিয়েছে সেখান থেকে টাকা শর্ট পড়েছে । তো উনি কিন্তু পুরো বাজারটাই তাকে দিয়ে দিয়েছেন।
এমনকি তো হওয়ার হামেশাই হয়েছে আর এলাকার মানুষের খোঁজখবর রাখা। অসহায় মানুষদের সাহায্য বিপদে সবার আগে উনি এগিয়ে যাবেন এমন স্বভাবের একজন মানুষ ছিলেন । একটা কথায় আছে না ভালো মানুষের বিপদ কিন্তু বেশি হয় । কি ছিল সেই বিপদ? চলুন শুনে, আসি সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল হঠাৎ করে উনার এবং উনার পরিবারের সাথে একটু একটু করে অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটনা ঘটতে থাকে ।এগুলো পর্যায়ক্রমে ঘটতে থাকে তবে খুব দ্রুততার সাথেই ঘটতে। থাকে যতটুকু জানা যায় সেই ঘটনাগুলো সেগুলো আমরা আপনাদেরকে এখন শোনাবো ।
ইমতিয়াজ সাহেব এবং তার পরিবারের সাথে ঘটতে থাকে একের পর এক ভয়ানক ঘটনা।
এক সকালে ইমতিয়াজ সাহেব উনার দোকানে গিয়ে যখন দোকান খুলেছেন উনি দেখতে পান উনার দোকানের চাল ডাল আদারস যা যা আছে সবকিছু মাটিতে ফেলে রাখা। দেখে মনে হচ্ছে কেউ ইচ্ছে করে এসব কাজ করেছে । শুরুতে চোর ভাবলেও পরে উনার ধারণা পাল্টায় কারণ দোকানে কোন জায়গায় ভাঙ্গাচোড়ার দাগ নাই । মানে দোকানের কোন একটা সাইট ভেঙে যে চোর ঢুকেছে এরকমটা না।
তাহলে কে ঢুকলো দোকানের চাবি তো অন্য কারো কাছে না । তালাটাও ঠিকঠাক মতো মারা ছিল,এমনকি দোকানে অন্য কারো পায়ের ছাপও উনি পান নাই । কেউ আসলে তো তার পায়ের ছাপ থাকবে বা তার দোকানের ফ্লোরটা যেরকম ছিল ওই সময় তো আসলে এরকম পাকা করা দোকান ছিল না।ফ্লোরটা ছিল মাটির তবে ,দোকানটা বেশ শক্তপোক্ত ছিল আর কি প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখন যেরকম বিল্ডিং করা দোকান দেখা যায় এখানে দোকান ওই সময় তো এরকম মার্কেট ছিল না। তো যাই হোক উনি
কোথাও কোন চিহ্ন খুঁজে পাচ্ছেন না অথচ ভেতরে ভেতরে সবকিছু তছনচ করে দিয়ে গিয়েছে । যেহেতু উনার আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল উনি ওইদিনই নতুন নতুন জিনিসগুলো আবার আনলেন যেগুলো সাজানো যায় সেগুলো সাজিয়েছেন আর যেগুলো একদম নষ্ট হয়ে গিয়েছে ওগুলো উনি সরিয়ে ফেলেন। আর সম্পূর্ণ নতুন ভাবে আবার উনি ওই দিনটাতেই সাজিয়ে ফেলেন । দোকান উনি ভেবেছেন হয়তোবা কোন ইঁদুর টিঁদুর ঢুকে পড়েছিল সেই সাথে কোন বিড়ালও ঢুকে পড়েছিল ওই ইঁদুরকে তাড়া করতে গিয়ে বিড়াল এই কাজগুলো করেছে ।
তবে ভারী ভারী বস্তাগুলো নষ্ট করে ফেলা একদম এক সাইডে ফেলে দেয়া এটা তো ইঁদুর বিড়ালের কাজ হতে পারে না । যাই হোক উনি ব্যাপারটা নিয়ে খুব একটা বেশি ভাবেননাই ।তবে মনে কষ্ট পেয়েছিলেন যে কেমন কেন এমনটা হলো কে এই কাজটা করলো । যাই হোক এই পর্যন্তই আর কি এই ঘটনার কয়েকদিন পরের কথা । এশার সালাত উনি যেই বাজারে আদায় আদায় করতেন যে বাজারে উনার দোকান ছিল ওই
বাজারে মসজিদে। আদায় করে উনি সবসময় বাড়ির দিকে রওনা দিতেন ।
আর সময়টা ছিল শীতকাল । গ্রামে কিন্তু শীতকালে এশার সালাতের পরে অনেকটাই রাত হয়ে যায় আর এমনিতেও এখনো কিন্তু মফসল এরিয়া গুলোতে এশার নামাজের পরে শীতকালে বাইরে খুব একটা
মানুষ দেখা যায় না । তাহলে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে কেমন অবস্থা হতে পারে এত বছর আগের কথা বুঝতেই পারছেন প্রিয় লিসেনারস । এশার সালাতের পরে উনার পরিচিত বেশ কয়েকজন লোক নামাজের পর দোকান বন্ধ করে যারা চলে যায় ওখানে ব্যবসায়ী কারো সাথে গল্প টল্প করেন তো এটা হওয়ার হামেশায় উনি এটা করে থাকেন । এশার নামাজের পরেও উনি এক দেড় ঘন্টা পর বাড়ির দিকে রওনা দেন । এটা উনার প্রতিদিনের অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল আর কি সাধারণত উনি একাই বাড়ির দিকে যান । মাঝে মাঝে লোকজন থাকে সাথে তবে ওই রাত্রে উনি একাই যাচ্ছিলেন ।
উনার যাওয়ার পথে বটের মোড় নামক একটা জায়গা ছিল তো হাঁটতে হাঁটতে যখন ওই বটের মোড় নামক জায়গার কাছাকাছি আসেন । তো ওখানে ছিল তিন রাস্তার একটা মোড় । আর ওই সময় উনি বাইসাইকেল চালাতেন ওই সময় ইন্ডিয়ান এক ধরনের বাইসাইকেল পাওয়া যেত। ওই সাইকেল গুলো উনি চালাতেন আর কি । তো ওই তিন রাস্তার মোড়ে উনি যখন বাইসাইকেল নিয়ে এসেছেন ওইখানে যে বটগাছটি ছিল ওটা শত বছরের পুরনো বটগাছ ওটার বয়স নির্দিষ্ট করে আসলে বলা যায় না । তো ওদিক দিয়েই একটা রাস্তা যায় উনার বাড়ির দিকে তো ওখানে এসে উনি বামদিকে যেই ঘুরবেন উনার সাইকেলটা ঘুরাবেন হঠাৎ করে উনি বেশ ভয় নিয়েই সাইকেল থেকে পড়ে যান। হঠাৎ করে মনে হলো যে উনার সাইকেলের চাকাটা কোন কিছুর সাথে পেঁচিয়ে গেছে এবং যেটার সাথে পেঁচিয়ে গেছে ওটা নড়াচড়াও করছে
তো উনি যখন পড়ে গিয়েছেন পড়ে যাওয়ার পর উনি মাটির দিকে তাকান যে কিভাবে আমি পড়ে গেলাম। সাইকেল নিয়ে উনি দেখতে পান উনি যেটার সাথে বেঁধে পড়ে গেছেন ওটা কালো কিছু একটা এবং ওই জিনিসটা মনে হচ্ছে ওই বট গাছের উপরের দিকে উঠে গেছে তো ওই দিকটাতে যখন উনি ওই সাইকেলে থেকে পড়ে গিয়ে মাটিতেই ওরকম পড়ে আছেন ওইদিকে তাকিয়েছেন। উপরের দিকে উনি দেখতে পান ওই বট গাছের মাথায় সূর্যের মত কোন একটা বস্তু আলো ছড়াচ্ছে আর। ঠিক ওইটার একটু নিচে একটা ডালে বসে আছে এক মহিলা আর ওই মহিলার চুল গাছ বেয়ে রাস্তার উপরে পড়ে রাস্তার সাইড দিয়ে ওই চুল একটা পাশের ডোবায় চলে গেছে।
আর ওই চুলগুলো মনে হচ্ছে নড়াচড়া করছে সাপ যেভাবে নড়াচড়া করে না মনে হচ্ছে ওইভাবে নড়াচড়া করছে আর ওটাতেই সাইকেলটা বেঁধে গেছে আর সাইকেলের চাকা ওটাই বেঁধে যাওয়ার কারণে উনি পড়ে। গিয়েছেন হঠাৎ করেই উনি ওখানে আসার পর একটাবারের জন্য কিন্তু ওই রাস্তার উপরে ওই জিনিসটা দেখতে পান নাই । হঠাৎ করেই ওই জিনিসটা হয়েছে উনি কিন্তু রাস্তার দিকে তাকিয়ে ছিলেন উনি খেয়াল করেছিলেন যে ওখানে কিছুই নাই । উনার কাছে ওই সময় কোন এক ধরনের লাইট টাইট ছিল হয়তোবা সেটা দিয়ে উনি পথ দেখে যাচ্ছিলেন উনি চিন্তা করছেন কি ব্যাপার আমি যে পড়ে গেলাম আমি দেখলাম না কেন আর হঠাৎ করে এই জিনিসটা কথেকে আসলো । উনি যখন কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে এই চিন্তা করেছেন বা এগুলো তো নিয়ে খুব বেশ চিন্তা করার আসলে সুযোগ থাকে না কিন্তু পড়ে পড়ে উনি মাটির উপর পরে উনি এই চিন্তা করছেন যে এটা কোত্থেকে আসলো
উনি যখন ওই একটা মহিলাকে দেখছিলেন তখনও কিন্তু ওই মহিলাটা এই ইমতিয়াজ সাহেবের দিকে তাকান নাই । ইমতিয়াজ যখন ভালোভাবে পাঁচ ছয় মিনিট পাঁচ ছয় সেকেন্ড অবজার্ভ করছেন তখন উপরে ওই ডালে বসে থাকা ওই মহিলাটি ইমতিয়াজ সাহেবের দিকে মুখ ঘুরিয়ে তাকান । বিভৎস এক চেহারা ভয়ঙ্কর চোখ আর চেহারাটা যে আসলে কেমন বিভৎস ছিল । খুব কুচকুচে কালো বলে মনে হচ্ছিল কিন্তু
মনে হলো তার চেহারার উপর কেউ দূর থেকে একটু আলো ধরেছে। আলো ধরলে চেহারাটা একটু পরিষ্কার দেখা যায় না ঠিক ওই রকম অনেক সময় দেখা যায় যে আমাদের মুখের উপর যদি কেউ হঠাৎ করে হালকা আলো ফেলে মোবাইলের ফ্লাশলাইট যদি হঠাৎ করে আমাদের মুখের উপর ধরে শুধু মুখমন্ডলের উপরে তখন ওই জায়গায় আলোকিত হয়ে যায় মনে হলো, হঠাৎ করে ওই মহিলাটার মুখটার উপরে কেউ আলো ধরেছে ,আর তখনই ওই মুখটা আলোকিত হয় এবং ইমতিয়াজ সাহেব ওই মুখটা দেখতে পান বিভৎসবএক চেহারা । আরো যে ভয়ানক ব্যাপারটা উনার জন্য অপেক্ষা করছিল সেটা হলো ওই
মহিলা ওই ডালের উপর বসেই তার বডিটাকে লম্বা করে ইমতিহাস সাহেবের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে আর এইটা দেখা মাত্রই উনি ওইখানেই অজ্ঞান হয়ে যান। উনি অনেকক্ষণ ওখানে পড়েছিলেন এমনিতে শীতকাল ওইভাবে মাটির উপর পড়েছিলেন কখনো হয়তোবা ওইদিক দিয়ে লোক রাতের বেলা যাচ্ছিল তাও সেটা কতক্ষণ পর নির্দিষ্ট ভাবে বলা যায় না । হয়তোবা ঘন্টাখানেক পর হবে কোন লোক ওদিক দিয়ে যাচ্ছিল তারা ইমতিয়াজ সাহেবকে এভাবে পড়ে থাকতে দেখেন । আর ইমতিয়াজ সাহেবকে তো গ্রামের অনেক মানুষই চিনতেন ভালো মানুষ হিসেবে আর অনেকের সাথে তো তার পরিচয় ছিল।
তারাও চিনতে পারেন ইমতিয়াজ সাহেব এখানে পড়ে আছে কেন । তো ওই লোকজন ওখান থেকে ইমতিয়াজ ভাইকে উঠান আরেকজন সাইকেল ধরেন আর উনাকে উনার বাড়িতে পৌঁছে দেন । পরের দিন দুপুরবে বলে উনার জ্ঞান ফেরে । জ্ঞান ফেরার পর উনি সবকিছু খুলে বলেন পরিবারের সবাইকে । ঘন্টাখানেক এভাবে উনি রাস্তায় পড়েছিলেন । ঠান্ডার মধ্যে এমনিতে তো উনার প্রচন্ড ঠান্ডা লেগে গিয়েছিল এই কারণে আর পরিবারের সদস্যরা উনাকে একটু রাগারাগি করেন। কারণ প্রতিদিন রাতের বেলা বাড়িতে ফেরা এটা উনার কিন্তু একটা স্বভাবে পরিণত হয়েছিল । যাই হোক খুব যে জ্বর টর এসেছে তা না । কিন্তু এই শীতকালে এরকম মাটির উপর পড়ে থাকার কারণে অনেকটা সময় উনার বেশ ঠান্ডা লেগেছিল । তবে উনি অল্প কয়েকদিনের মধ্যে
আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়ে আবার দোকান শুরু করেন । তবে এরপর উনি যেটা করতেন সেটা হলো মাগরিবের নামাজ পড়েই বাড়িতে চলে আসতেন। এশার নামাজ উনি বাড়িতেই আদায় করতেন মানে মাগরিবের নামাজের পরে আর উনি দোকান খোলা রাখতেন না। ইমতিয়াজ সাহেবের ছেলে ছিল একটি তার বয়স মোটামুটি ১৫ ওর কাছাকাছি হবে ওর নাম ছিল বাবুল উদ্দিন সবাই তাকে আদর করে বাবু নামে ডাকতো মানে বাবুলের লটা বাদ দিয়ে বাবু নামে ডাকতো আর কি আর ওরও একটা অভ্যাস ছিল প্রতিদিন বিকালে বন্ধুদের সাথে ঘোরাঘুরি করা খেলাধুলা করা আড্ডা দেয়া। তবে মাগরিবের আগেই ঘরে ফেরার কঠোর নির্দেশনা ছিল তার । আর বাবু কিন্তু এই কাজটা সবসময় পালন করতো ও মাগরিবের আগেই বাসায় ফেরত আসতো ।
একদিন এশার নামাজ পড়ার আযান দিয়ে দেয় মানে এশার আযান দিয়ে দেয় নামাজ শেষে অনেকেই তাদের বাড়িতে চলে আসে । কিন্তু কিন্তু বাবুও ঘরে ফেরে বাড়ির সকলে মনে করেছিল হয়তোবা মাগরিবের নামাজ পড়ে সে বাড়িতে আসবে কিন্তু না আসে নাই মাগরিবের পরে হয়তোবা তার কোন বন্ধুর বাড়িতে গেছে চলে আসবে আসে নাই। কিন্তু এশার নামাজের পরেও যখন বাবু বাড়িতে আসে না তখন তো বাড়ির সকলে চিন্তিত হয়ে পড়ে আর ইমতিয়াজ সাহেব উনি তো মাগরিবের নামাজ পড়ে চলে আসতেন উনি এসে শোনেন যে ছেলে এখনো আসে নাই । তখন চিন্তা করছে এশার নামাজের পরে আসবে তারপর যখন আসেন তখন উনি খুঁজতে বাইরে বের হন আর অন্যান্য লোকদেরকেও ডাকেন তারাও খোঁজাখুঁজি শুরু করে ।
কিন্তু বাবুকে কোথাও পাওয়া যায় না । ওই রাত্রে কোথাও পাওয়া যায়নি । তার পরের দিন খোঁজা হয় পাওয়া যায়নি তার বন্ধুদেরকে জিজ্ঞেস করা হয় ওরাও কিছু বলতে পারে না । ওরা বলে যে ওইদিন সন্ধ্যার আগেই তো ও আমাদের সাথে খেলাধুলা করে বাড়িতে চলে গেছে। এরপরে তো ওরা আর কিছু জানে না ।একদিন দুইদিন তিনদিন এরকম ছয়টা দিনপার হয়ে যায় । ছয় দিন পর বাবুকে পাওয়া যায় তবে জীবিত নয় মৃত বাবুর লাশ পাওয়া যায় কয়েক গ্রাম পরে।
নদীতে আসলে এই মর্মান্তিক ব্যাপারটার রহস্য কেউ বুঝতে পারছিল না কারণ হলো ছয় দিন বাবু পানির নিচে যদি থাকে তাহলে বাবুর বডির অবস্থা কেমন হবে একবার ভাবুন প্রিয় লিসেনারস তখন আবার শীতকাল কিন্তু বাবুর দেহটা একদম স্বাভাবিক ছিল । মনে হচ্ছে ঘন্টাখানাক আগে হয়তোবা মারা গিয়েছে আর নদীতে কিন্তু কোন স্রোত ছিল না শীতকাল তো নদীতে স্রোত থাকে না ।
একদম গ্রামের সাইড দিয়ে একটা ছোট্ট নদী নদীর শাখা আর কি চলে যাচ্ছিল ওটা একদম ছোট নদী ছিল স্রোত শীতকালে নাই কোন কোন জায়গায় শুকিয়েও গিয়েছে অনেকটা তাহলে লাশ কিভাবে ভেসে গেল আর কে বা মারলো বাবুকে । বাবুর তো কোন শত্রু নাই তো ওই সময়ে আসলে থানা পুলিশ কতটুকু করা হয়েছিল এ বিষয়ে জানা যায় না । তবে পরিবারের সবাই এই বিষয়টাকে স্বাভাবিক মৃত্যুই ভেবে নেন যে বাবু হয়তোবা নদীতে গিয়েছিল সে পানিতে পড়ে গিয়েছে ওইভাবে সাঁতার কাটতে পারে নাই কারণ পানিটা অনেক ঠান্ডা থাকে ওর বডিটা হয়তোবা অনেকটা জমে গিয়েছিল যার।
কারণে পানিতে ডুবে গিয়েছে কেউ তাকে হত্যা করতে পারে এই বিষয়টা পরিবারের সদস্যরা মাথায় আনেন নাই । যে না এটা হত্যা করতে পারে না গ্রামে এরকম কোন লোকজন নাই । আর কারো মধ্যে এই ধরনের কোন সন্দেহ হতে পারে বা এরকম কোন কিছু পান নাই আর কি তার ।
পরিবারের সদস্যরা যাই হোক বাবু মারা যাওয়ার ঠিক দুইদিনের মাথায় ইমতিয়াজ সাহেবের বাড়িতে একটি চমৎকার সাদা রঙের বিড়াল আসে । আর এই বিড়ালটি কোন অপরিচিত বিড়াল না এই বিড়ালটি ছিল তাদের খুবই পরিচিত একটি বিড়াল । কিন্তু এই বিড়ালটি তাদের মধ্যে এক আতঙ্কের জন্ম দেয় কারণ হচ্ছে বেশ কয়েক মাস আগে এই বিড়ালটি কুকুরের কামড়ে মারা গিয়েছিল । ইমতিয়াজ সাহেবের স্ত্রীর শখ ছিল বিড়াল পোষা আর এটি ছিল তার সেই পোষা বিড়াল তবে তাকে মাটি চাপা দেওয়ার পর এই বিড়াল কয়েক মাস পর ফেরত আসলো কিভাবে ।
তবে এটা নিয়ে আসলে তারা খুব বেশি ভাবে না । কারণ একই রঙের বিড়াল অনেক আছে তো এটা হয়তোবা তেমনি কোন একটা চলে এসেছে । একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে পরিবারের সদস্যরা তো শোকে বিউবল হয়ে আছে তখন বিড়াল নিয়ে ভাববার সময় আর কতটুকু তাই না ওই বিড়ালটি তাদের বাড়িতে আসে আর বিড়ালটি ওই বাড়িতেই থাকে আর তারাও ওই বিড়ালটিকে আশ্রয় দেয়
ইমতিয়াজ সাহেবের পরিবারে ঘটতে থাকে একের পর এক ঘটনা কখনো তার স্ত্রীর সাথে আবার কখনো তার মেয়ের সাথে কখনো তার বাবার সাথে কখনো তার মার সাথে । তবে এইবারে যে ঘটনাগুলো ঘটতো ছোটখাটো ঘটনা ঘটতো শারীরিকভাবে কেউ কোন ক্ষতিগ্রস্ত হতো না তবে ভয় পেত বিভিন্ন ধরনের জিনিস দেখতে পেত । তারা যখন ঘুমাতে যেত বাড়ির চারপাশে বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর আওয়াজ শুনতো যেমন শুকর কুকুর শেয়াল বানর ইত্যাদি প্রাণীর।
আওয়াজ কখনো কখনো আরো হিংস্র জীবজোয়ারের আওয়াজ শোনা যেত কুকুর বা শেয়াল এ দুটোর আওয়াজ গ্রামে কিন্তু স্বাভাবিক বিষয় হলেও গ্রামে কিন্তু বন্য শুকর ছিল না এই শুকুর গুলো খুবই ভয়ঙ্করভাবে ঘুঘুত আওয়াজ করতো । আর কোথেকে মনে হতো বড় বড় বানরগুলো চলে এসেছে গাছে উঠে লাফালাফি করতো বানর যেভাবে শব্দ করে।
ওইভাবে এত বড় বানর তো তাদের এলাকায় ছিল না কখনো কখনো বাঘসিংহের মত কোন আওয়াজ পাওয়া যেত ওরা যে বাঘসিংহ যেভাবে গর্জন করে ওই রকম। তো এগুলোতে ওনারা বেশ ভয় পেতেন রাতের বেলা পারতপক্ষে রাতের বেলা উনারা ঘর থেকে বের হতেন না।
এবার আসি এক রাতের ঘটনা ইমতিয়াজ সাহেবের মা ওয়াশরুমে যাবার জন্য বের হয়েছেন । রাতের বেলা আর গ্রামের ওয়াশরুম গুলো যে বাড়ির বাইরে থাকে । এটা তো আমরা সকলেই জানি তো উনি বের হয়ে একটু এগিয়েছেন মানে জাস্ট খালি উনি ঘর থেকে বের হয়ে । ঘরের যে বারান্দা বারান্দার থেকে
উঠনে নেমেছেন জাস্ট তখন দেখেন উঠনের ঠিক মাঝখানে অনেক বড় কালো মোটা একটা সাপ আর এই সাপটা অজগর সাপের মত । অজগর সাপ যেভাবে তার মুখটাকে অনেক বড় করে কোন একটা শিকার আস্তে আস্তে গিলে খেয়ে ফেলে তো দেখা যাচ্ছে যে এই অজগর সাপটি অল্প কয়েকদিন আগে মারা যাওয়ার তার নাতি বাবু মানে বাবুলকে গিলে খাচ্ছে ।
পায়ের দিক থেকে গিলে খাচ্ছে কোমর পর্যন্ত গিলে খেয়ে ফেলেছে । কোমর থেকে মাথা পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে আর ওই বাবু অজগর সাপের মুখ থেকে বের হওয়ার জন্য আকুতি জানাচ্ছে চেষ্টা করছে। এই দৃশ্য দেখে উনি আসলে ভুলেই গিয়েছেন উনার নাতি মারা গিয়েছে । উনি চিৎকার করে ওঠেন ওরে আমার বাবুরে খেয়ে ফেললো রে কে কোথায় আছিস । বাঁচা আমার বাবুরে বাঁচা তো এরকম একটা চিৎকার দিয়ে উনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান ।
আর পরিবারের সদস্যরা উনার এই চিৎকারে ঘুম থেকে জেগে ওঠে তারা দ্রুত বের হয়ে আসেন। বের হয়ে এসে দেখেন যে বাইরে কিছু নাই। শুধু এই ইমতিয়াজ সাহেবের মা পড়ে আছে। দ্রুত ওখান থেকে উনাকে উঠিয়ে ঘরে নিয়ে যাওয়া হয় । ঘন্টাখানিক পরে উনার জ্ঞানও ফেরে উনি সবাইকে বিষয়টা খুলে বলেন উনি কি দেখেছেন । ইমতিয়াজ সাহেব বুঝতে পারেন যে একের পর এক যে ঘটনাগুলো ঘটছে
এগুলো নিশ্চয়ই ভালো কিছুর ইঙ্গিত বহন করছে না । রাতের বেলা অনেকেই বিভিন্ন জিনিস দেখে ভয় পায় গ্রামে অনেকে এটা দেখে উনি চিন্তা করেছিলেন যে ওই যে দোকান থেকে আসার পথে ওই জিনিসটা ওরকমই কিছু একটা হবে কেন অনেকেই তো এগুলো দেখে ভয় পায় এরপর উনার ছেলের মৃত্যুটা এটা উনি স্বাভাবিকভাবে নিয়েছিলেন ভাগ্যকে মেনে নিয়েছিলেন।
কিন্তু এখন যে ব্যাপারটা ঘটলো আর ওই যে রাতের বেলা বিভিন্ন প্রাণীর আওয়াজ শোনা যায় । এগুলো তো স্বাভাবিক কিছু না উনি চিন্তা করেছেন হয়তোবা এরকম হচ্ছে ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু না এবার উনি বুঝতে পারেন নিশ্চয়ই ভয়ঙ্কর কোন কিছু এখানে চলে এসেছে ব্যাপারটা উনি পরের দিন সকালবেলা স্থানীয় এক ইমাম সাহেবের সাথে শেয়ার করেন। ইমাম সাহেব কিছুটা সময় চান এবং উনাদেরকে সাবধানে থাকতে বলেন আর ওই যে সারা বিড়ালটা এই বিড়ালটা দিন-রাত বাড়ির দরজায় বসে থাকতো রাতের বেলা যদি কোন সদস্য বাইরে বের হতো তাহলে সেও সাথে সাথে যেত ।
কিন্তু ওই রাত্রে যেই রাত্রে এই যে ইমতিয়াজ সাহেবের মা বাইরে জাওয়ার জন্য ঘর থেকে বাইরে বের হয়েছিলেন । ওই রাত্রে বিড়ালটা অন্য কোন একটা ঘরে ছিল মানে ওই সময় সে আর বাইরে বের হইতে পারে নাই । অন্য ঘরের ভিতরে ছিল ঘরের দরজাটা বন্ধ ছিল এরকম কিছু একটা হতে পারে আর কি অনুমান করে যে এরকম কিছু একটা। যাই হোক তো ইমাম সাহেব সন্ধ্যায় ইমতিয়াজ সাহেবের বাড়িতে
আসেন এবং তাকে বলেন যে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু উনি কোন তথ্য উদ্ধার করতে পারেন নাই। তিনি এও বলেন যে ইমতিয়াজ সাহেব দ্রুত ভালো কোন হুজুরের শরণাপন্ন হন। কারণ আপনার বাড়ির উপর খারাপ কিছুর প্রভাব পড়েছে। আমার বার্তাবাহক জিনেরা কোনভাবেই আপনার বাড়ির সীমানায় প্রবেশ করতে পারছে না । একথা শোনার পর ইমতিয়াজ সাহেব কিন্তু খুব চিন্তিত হয়ে পড়েন তিনি ভালো হুজুরের সন্ধান করতে থাকেন ।
আর এর মধ্যে ঘটে যায় আরেকটা দুর্ঘটনা এক দুপুরবেলা ইমতিয়াজ সাহেবের বাবা উনার বাড়ির পাশে একটা বাগান রয়েছে সেই বাগানে বেশ কিছু আম গাছ রয়েছে। একটা আম গাছের ডালে ইমতিয়াজ সাহেবের বাবা গলায় ফাঁস লাগিয়ে সুইসাইড করেছেন। হঠাৎ এমন ঘটনা কেউই মানতে পারছিলেন না । কারণ উনার দ্বারা এই টাইপের ঘটনা ঘটা সম্ভবই নয়। উনি মোটেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন না । পারিবারিক কোন অশান্তি ছিল না উনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন উনি দুপুর পর্যন্ত স্বাভাবিক আচরণ করেছেন । তো বাড়ির লোকজন বলে হঠাৎ করেই নাকি ওই উনি ওই বাগানের দিকে হাঁটতে শুরু করে বিষয়টা পরিবারের সদস্যরা দেখেছে কিন্তু এটা তো হতেই পারে উনি মাঝে মাঝে বাগানে যান ।
আশেপাশে যান এটা তো কোন অস্বাভাবিক কিছু না । এজন্য কেউ কিন্তু সন্দেহ করে নাই কিছু আর তাকে ডাকেও নাই কিন্তু উনি ওখানে গিয়ে সুইসাইড কিভাবে করলেন উনি যখন বাড়ি থেকে বের হয়েছেন উনি কিন্তু হাতে কোন দড়ি বা এই টাইপের কোন রশি কিছু নিয়ে বের হন নাই । তাহলে উনি কেন আত্মহত্যা করলেন এমন ঘটনা কেউই মানতে পারছিল না । গ্রামের মানুষজন সবাই বলছে যে না এটা কোনভাবেই সম্ভব না । এটা উনি করতেই পারেন না আত্মহত্যা করা উনার পক্ষে সম্ভবই নয়।
তাহলে ব্যাপারটা কি পরিবারের সদস্যদের একের পর এক মৃত্যুতে ইমতিয়াজ সাহেব খুবই ভেঙে পড়েন আর সেটাই স্বাভাবিক। পরিবারের এমন দুর্দশা দেখে তারপরের গ্রামের একজন লোক মানে উনার গ্রামেরও না তার পরের গ্রামের একজন লোক উনি এক ভালো হুজুরের সন্ধান তাদেরকে দেন সেই হুজুরের সাথে ইমতিয়াজ সাহেব দেখা করেন এবং শুরু থেকে সব ঘটনা খুলে বলেন সব
period pain medicine period pain killer tablet Name
শুনে হুজুর দুই দিনের মত সময় চান হুজুর নিজের মত করে চেষ্টা করেন । কিন্তু ওই ইমতিয়াজ সাহেবের ব্যাপারটা যে কি হুজুরও বুঝতে পারছিলেন না এরপরে হুজুর আরো কয়েকটা দিন সময় চেয়ে নেন আর এরই মধ্যে চলে আসে অন্ধকার অমাবস্যার এক রাত। সেই রাতে চারদিকে একটু বেশি নীরবতা বিরাজ চলছিল । পরিবারের সবাই খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়ে হঠাৎ পুরো বাড়ি কেঁপে ওঠে ভূমিকম্পে যেভাবে বাড়ি কেঁপে ওঠে।
ওইভাবে ভয়ানকভাবে কেঁপে ওঠে শুধু কেঁপে ওঠা না শুধু কেঁপে ওঠা না মনে হচ্ছে বাইরে ঝড় হচ্ছে আর তার সাথে ভয়ঙ্কর ধস্তাধস্তির শব্দ ভীষণ ভয়ানক কর্কশ বিভিন্ন আওয়াজ শোনা যাচ্ছে । শুকর সহ বিভিন্ন জন্তুর আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে সারারাত এভাবে চলে ফজরের আযানের পর যখন সবকিছু থেমে যায় তখন পরিবারের সবাই বাইরে বের হয়ে দেখে উঠোরের একপাশে সেই সাদা বিড়ালটা মৃত অবস্থায় পড়ে আছে । আর তার পাশেই সুন্দর কিন্তু অচেনা বেশ কিছু বড় বড় ফুল পড়ে রয়েছে । ফুল তবে এই ফুল উনারা আগে কখনো দেখেন নাই । সবাই ফুলগুলো দেখে আশ্চর্য হলো বিড়ালটির মৃত্যুতে সবাই বেশ কষ্ট পায় আর কিছুক্ষণ পরেই হুজুর তার তিন চারজন ছাত্রকে নিয়ে ইমতিয়াজ সাহেবের বাড়িতে আসেন ইমতিয়াজ সাহেব আশ্চর্য হন । কারণ আজানের কিছুক্ষণ পরেই উনি এতদূর থেকে কিভাবে ছাত্রদেরকে নিয়ে আসলেন এই সময়ে ।
হুজুর কি সব জানেন হুজুরকে জিজ্ঞাসা করা হলে । হুজুর বলেন বলবো ফজরের সালাতটা আদায় করি তারপরে। সব বলবো আর এই ফুলগুলো এবং এই মৃত বিড়ালটাকে আপনারা খুব সাবধানের সাথে একটা পবিত্র এবং পরিষ্কার জায়গায় রাখুন। তাই করা হয় হুজুরের ছাত্ররা সেটাতে হেল্প করে । হুজুরের মনটা খুব খারাপ ছিল ওই সময় হুজুর ফজরের সালাত আদায় করে কিছু জিকির আজগার করে এরপরে শোনান এক হৃদয় বিদারক কথা রোমহর্ষক এবং মর্মান্তিক এক ঘটনার। বর্ণনা তিনি শুরু করেন হুজুর বলেন যে ইমতিয়াজ তোমার দাদার বাবা ছিলেন অত্যন্ত পরহেজগার এক লোক । উনার কাছে জিনদের মধ্যে সম্মানিত এক জিনগোষ্ঠীর সর্দার এসেছিলেন দেখা করতে তখন তিনি বলেছিলেন যে আমাদের এই গোত্রটা খুবই শক্তিশালী আর আমাদের গোত্রের যেই বাচ্চারা রয়েছে তাদেরকে উনি যেন ইসলামিক শিক্ষায় শিক্ষিত করেন এবং উনি যেটা জানেন কোরআন হাদিস এগুলো যেন তাদেরকে শেখান
তাদের এই গোত্রটা অত্যন্ত শক্তিশালী যোদ্ধা প্রকৃতির জিন এবং তারা খুব পরহেজগার টাইপেরও জিন । তাদের অনেক বিষয়ে জানাশোনা রয়েছে আর উনারা যেহেতু যুদ্ধ এবং অন্যান্য সংক্রান্ত কাজে বেশি ব্যস্ত থাকেন এজন্য খুব পরহেজগার একজন আলেমের কাছে তাদের সন্তানদেরকে তারা দ্বীন ইসলাম শিখাতে চান।
এজন্যই মূলত উনি এসেছেন আর এই যে ইমতিয়াজ সাহেবের দাদার বাবা উনি তো পরহেজগার মানুষ ছিলেন তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তেন । তো এক তাহাজ্জুদের নামাজে গিয়েই ওই জিনটার সাথে তার দেখা হয় । তো ইমতিয়াজ সাহেবের দাদার বাবা উনি এটাতে রাজি হয়ে যান। তখন এই জিন সরদার উনি ইমতিয়াজ সাহেবের ওই বাবার দাদাকে একটা কলস ভর্তি স্বর্ণের মোহর উপহার হিসেবে ওই সময় দিতে চান । যে আপনি আমাদের তরফ থেকে উপঢৌকন হিসেবে এটা রাখুন কিন্তু । ইমতিয়াজ সাহেবের বাবার দাদা এটি খুবই বিনয়ের সাথে ফিরিয়ে দেন এবং বলেন যে না আপনি আমাকে যে উপহারটা দিচ্ছেন
সেটা হচ্ছে যে আপনাদের সন্তানদের ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করার হাদিয়া স্বরূপ আমি তো এইটার বিনিময়ে কোন বিনিময় নিতে পারি না । আল্লাহ এর আমার প্রতিদান দিবেন উত্তম প্রতিদান আল্লাহ দিবেন আমি যদি আপনাদের কাছ থেকে এটার কোন বিনিময় নেই তাহলে আল্লাহর কাছে আমি কি নিব । আল্লাহ তো বলবেন যে তুমি তো এই ভালো কাজের বিনিময়ে নিয়েই নিয়েছো । এজন্য আমি আপনাদের কাছ থেকে এটা নিতে পারি না । তখন ওই জিন সরদার বলছেন আমি এটাকে উপহার হিসেবে দিয়েছি আপনি এটা রাখুন । তখন উনি বলেছিলেন যে না আপনি এটা কোন অভাবী মানুষকে দিয়েন।
আল্লাহ আমাকে যথেষ্ট দিয়েছেন । আমি অবস্থাশালী মানুষ আপনি এটা আপনার কাছেই রাখুন । এই ব্যাপারটা ওই জিন সরদার খুবই ভালো হিসেবে নেয় খুব ভালোভাবে নেয় এবং উনি বলেছিলেন যে ওই জিন সরদার উনি বলেছিলেন যে যে আপনি যেভাবে আল্লাহর কথা চিন্তা করে আমাদের সন্তানদেরকে আপনি শিক্ষিত করবেন । আপনি যেহেতু পার্থিব এই উপহারটা ফিরিয়ে দিলেন।
এটা করে আপনি আমার মন জয় করে নিয়েছেন । আমি ওয়াদা করছি এবং আমার গোত্রের সবাই ওয়াদা করবে যে আপনি সহ আপনার পরিবার যতদিন এই পৃথিবীর বুকে টিকে থাকবেন এবং আমরা আমাদের এই গোত্রের জিনেরা যতদিন এই পৃথিবীর বুকে টিকে থাকবো ততদিন পর্যন্ত আপনার পরিবারের সুরক্ষা দেয়ার জন্য অদৃশ্যভাবে সবসময় আমরা আপনাদের আশেপাশে থাকবো । এটাই আমাদের তরফ থেকে আপনার জন্য এবং আপনার পরিবারের জন্য উপহার
এই ব্যাপারটা ইমতিয়া সাহেব মেনে নেন এবং বলেন ঠিক আছে। আপনাদের এই উপহারটা আমি গ্রহণ করলাম । এক মুসলিম হিসেবে আপনি আরেক মুসলিমের এরকম সহায়তা করবেন এটা তো আমি না করতে পারি। না তো ওই জিন সরদার কিন্তু প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম এটা পাহারা দেয়ার মানে তার
পরিবারকে পাহারা দেয়ার দায়িত্ব নিয়েছিলেন এরপর থেকে কিন্তু ওই যে ইমতিয়াজ সাহেবের বাবার দাদা উনি রাতের বেলা তাহাজ্জুদের সময় বিশেষ করে জিনদের সন্তানরা আসতো তাদেরকে শেখাতেন । তো এই ব্যাপারটা কিন্তু উনি কাউকেবলেন না । ইমতিয়াজ সাহেবের বাবার দাদা কিন্তু পরিবারের সদস্যদের কাউকে কিন্তু এই ব্যাপারটা বলেন নাই । আর খুবই অদৃশ্যভাবে ওই জিনেরা ওই পরিবারকে সুরক্ষা দেয়ার চেষ্টা চালাতো যার ফলে পরিবারের সদস্যরাও কিন্তু ওইভাবে বুঝতে পারে নাই তাদের উপস্থিতি তারপর থেকে সকল বিষয়ে।
সেই জিনেরা ইমতিয়াজ সাহেবের পূর্বপুরুষ এবং এখন পর্যন্ত সকলকে সাহায্য করছে তবে সমস্যা যেটা হয় সেটা হচ্ছে এই জিন গোত্রের মাত্র একজন জিন বেঁচে ছিল । ১০৭ বছর আগে মানে ওই ঘটনা যখন ঘটেছে 1965 বা 66 বা কোন একটা সময় আর কি ওই সময়েরও 107 বছর আগে কোন এক তান্ত্রিক ব্ল্যাক ম্যাজিশিয়ান ওই গোত্রের সবগুলো জিনকে কৌশলে আটকে ফেলেছিল শুধু পাঁচজন শক্তিশালী জিন পালাতে সক্ষম হয়েছে ছিল । এই যে পাঁচজন জিন তারা কিন্তু এই পরিবারের উপর নজর রাখে এবং সিপাহী হিসেবে এই পরিবারের সদস্যদেরকে অবিচল সহায়তা করেছে সবসময়।
তারা তাদের দায়িত্ব পালনে খুবই দায়িত্বশীল ছিল কিন্তু সমস্যা যেটা হলো এই পাঁচজনের মধ্যে চারজন নানান কারণে তাদের মধ্যে অসুখ-বিশুখ হয় তারাও মারা যায় চারজন নানান কারণে। মারা গিয়েছিল একজন শুধু জীবিত ছিল এবং সে একজন জীবিত থাকলেও সেও পাহারার কাজে নিযুক্ত ছিল কিন্তু সে কখনো নিজের অস্তিত্ব প্রকাশ করেনি ইমতিয়াজ সাহেব ভালো মানুষ হবার কারণে পুরো গ্রামবাসীর প্রায় সবাই মুদি জিনিসপত্র উনার কাছ থেকে ক্রয় করতো এতে করে অন্য ব্যবসায়ীদের ব্যবসার পথ অনেকটাই।
বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আর ওই দুষ্টু ব্যবসায়ীদের মধ্যে কয়েকজন যোগ সাজস করে ভয়ানক কালো জাদুর আশ্রয় নেয় এবং তারা এক তান্ত্রিকের শরণাপন্ন হয় । ওই তান্ত্রিক পাঠা বলিদানের মাধ্যমে ছয়টি গোত্রের ছয় জন ইফত শ্রেণীর জিনকে এই পরিবারের উপর চালান করে । আর এই ছয়টি গোত্রের ছয়টা জিন আবার ছিল বন্দি এরাও শক্তিশালী ছিল । আর ওই জিনগুলোকে বলে দেওয়া হয় এই পরিবারের সবগুলো মানুষকে অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু প্রদান করতে পারলে এই ছয়টা জিনকে নাকি মুক্তি দেয়া হয় হবে । এই শর্তে তাদেরকে চালান করা হয় ওই যে বেঁচে থাকা একটি জিন শুরুতে তাদের চেষ্টাগুলো প্রতিহত করলেও পরে কোনভাবেই পারছিল না কারণ ওরা সংখ্যায় অনেক বেশি ছিল। শক্তিতেও বেশি ছিল ওই রাত্রে বটের মরে ওই জিনটির চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল ওই জিনটার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল এর পিছনেও এই জিনটার ভূমিকা ছিল ।
কারণ ওই সময় ওখানে একটা জিন ছিল পাঁচটা জিন ছিল না একটা জিন তাকে প্রতিহত করেছিল বিশেষ করে যখন ওই বট গাছের ডালের উপর থেকে ওই মহিলা চেহারার ভয়ঙ্কর চেহারার ওই মহিলাটা যখন নেমে আসছিল তখন ওই জিনটা প্রতিহত করে। যার কারণে আল্লাহর রহমতে উনি বেঁচে গিয়েছিলেন । এরপর শুরু হয় ওই পরিবারের মৃত্যুর মিছিল ইমতিয়াজ সাহেবের ছেলেটিকে জিনটি রক্ষার চেষ্টা করেছিল তবে সমস্যা যেটা হয় সেটা হচ্ছে যে ইমতিয়াজ সাহেবের ছেলে খেলাধুলা করছিল বাড়িতে ফেরার সময় তার ওয়াশরুমে যাওয়ার একটু চাপ ছিল । যার ফলশ্রুতিতে সে রাস্তার একটা জায়গায় বসে জল বিয়োগ করে এই কারণে কিন্তু ওর শরীরটা ওই সময় অপবিত্র ছিল । আর এই সুযোগটা একত্রে যখন ছয়টা জিন নিয়েছিল তখন এই যে ভালো জিনটা সে খুব একটা প্রতিহত করতে পারে নাই।
কারণ ইমতিয়াজ সাহেবের ছেলে বাবুলের শরীরটা অপবিত্র ছিল সে চেষ্টা করলেও খুব একটা পারে নাই আর ছয়জন ছিল তার এগেন্স্ট যার ফলশ্রুতিতে সে ওইভাবে প্রতিহত করতে পারে নাই ওই ছেলেটিকে ওরা নিয়ে যায়। নিয়ে যাওয়ার ছয় দিনের মাথায় গিয়ে ওকে মেরে ফেলে এবং পানিতে ফেলে দেয় আর তখনই ওর ডেড বডিটা পাওয়া ।
যায় এরপর ওই দুর্ধর্শ জিনগুলো এই বাড়ির উপর এক ধরনের মায়াজাদুর প্রয়োগ করে যার ফলশ্রুতিতে কোন বার্তাবাহক জিন আর ভালো জিনও ওই বাড়িতে প্রবেশ করতে পারছিল না । তবে ওই ভালো জিনটি খুবই কষ্টে বিড়ালের বেশে প্রবেশ করতে সক্ষম হয় এবং ওই বিড়ালের রূপেই তাদেরকে রক্ষা করার চেষ্টা করছিল ওই রাত্রে যেই রাত্রে ইমতিয়াজ সাহেবের মা যে কালো ভয়ঙ্কর সাপটি দেখেছিল ওই রাত্রে তাকে মেরে ফেলত তবে এই বিড়াল রূপী জিনটি তার সাথে না আসলেও কোনভাবে তাকে বাঁচিয়ে দিতে আল্লাহর রহমতে সক্ষম হয় । আর ইবলিশগুলো ইমতিয়া সাহেবের মায়ের কাছাকাছি আসতে না পারায় তারা ভয়ানক কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেটা হলো রাতের বেলা একজনকে মারতে পারলো না ঠিক আছে যাক এবার দিনের বেলায় মেরে ফেলল এই পদক্ষেপ হিসাবে ইমতিয়াজ সাহেবের বাবা উনি গোসলের আগে
ওয়াশরুমে গিয়েছিলেন এরপর হঠাৎ করে ইমতিয়াজ সাহেবের গলা নকল করে উনার বাবাকে ডাক দেন । ওই বাগানের ভেতর থেকে আর তখন উনি চিন্তা করেছেন ইমতিয়াজ সাহেব হয়তোবা কোন একটা জরুরি কাজে ওখানে গিয়েছে তাকে ডাকছে । উনি আর হাত মুখ না ধুয়ে অজু না করে ওই বাগানের ভিতরে ঢুকে যান আর ওই সময় ওই জিনগুলো তাকে হত্যা করে শুধু হত্যা করেছে বিষয়টা এরকম না খুব নির্মম ভাবে তার গলায় ফাঁস লাগিয়ে ডালের সাথে ঝুলিয়ে দেয় ।
আর যেই অমাবস্যার রাত এই রাতটা ছিল ইমতিয়া সাহেবের পরিবারের শেষ রাত। ওরা পূর্ণ শক্তি নিয়ে ওই পরিবারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কিন্তু ওই যে বিড়াল রূপী জিন সে তার সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে তাদেরকে রুখে দিতে থাকে । তাদের গোত্রে যদি আর একটি জিন বেঁচে থাকতো তাহলে এই দুইজন মিলে কিন্তু এই ছয়টা ইফত শ্রেণীর ইবলিশ গুলোকে একদম শেষ করে ফেলতে পারতো । কিন্তু সে অনেকটাই একা হয়ে পড়েছিল এরপরেও সে দুটো মানে দুটো ইবলিশকে হত্যা করতে সক্ষম হয়। আর দুটো ইবলিশকে যখন হত্যা করতে সক্ষম হয় তখন এই মায়া জাদুর প্রভাবটাও কেটে যায়।
আর এই যে যে হুজুর যিনি এসেছিলেন উনার পাঠানো জিনগুলো তো ওই জায়গার মধ্যে ঢুকতে পারছিল না যখন ওই মায়া জাদুর প্রভাবটা কেটে গিয়েছে তখন। তারা ঢুকতে পারে এবং সকলে মিলে ওই জিনগুলোর উপর আক্রমণ করে তবে হুজুর যে জিনগুলোকে পাঠিয়েছিল তার ছাত্র জিন এরা আবার যোদ্ধা প্রকৃতির জিন ছিল না । যার ফলশ্রুতিতে ওইভাবে তারা প্রতিহত করতে পারছিল না । এর মধ্যে ঘটে যায় একটি ঘটনা । সেটা হচ্ছে এই একজন ছাত্র জিন তার নাম হলো আব্দুল্লাহ এই আব্দুল্লাহর উপর মারাত্মকভাবে একটা ইফত জিন চড়াও হয় ।
আর ওই সময় আব্দুল্লাহর প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে সেই বীর শহীদ জিন ওখানে হাজির হয় হয়ে যায় ঢাল হিসাবে আর ওই ইবলিশ জিনের আঘাতে ওই সময় সে মারা যায় । এই যে বিড়ালটি এই বিড়ালটি হচ্ছে সেই জিন ভালো জিন । আর যে ফুলগুলো এই ফুলগুলো হচ্ছে এই হুজুরের কিছু নিহত ছাত্রের লাশ কিন্তু এটা ফুল হয়ে রয়েছে । এ কথা বলতে বলতে হুজুর কিন্তু মানে এ কথা শোনাতে শোনাতে হুজুর কান্নাকাটি শুরু করে
দেন স্বাভাবিকভাবে তার জিন ছাত্ররা এভাবে মারা গিয়েছে আর এই একটা গোত্রের একটা মাত্র জীবিত জিন সেও মারা গেল । মানুষদেরকে রক্ষা করতে গিয়ে ওই যে তাদের যিনি সর্দার ওসিয়ত করে গিয়েছিলেন তো এভাবেই এই ঘটনাটার যেমন সমাপ্তি ঘটে । একটি গোত্রের সর্বশেষ জিনের শহীদ হওয়ার মাধ্যম দিয়ে ওই গোত্র এই পৃথিবী থেকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন হয়ে। যায় আর এই জাদুটাও একদম পরিপূর্ণভাবে কেটে যায় এরপরে ইমতিয়াজ সাহেব ওই গ্রাম ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন অনেক দূরে । যদি আবারতাদের উপর কালো জাদু করে । কারণ উনি উনার বাবাকে হারিয়েছিলেন উনার একটা ছেলেকে হারিয়েছিলেন তো আর উনি কাউকে হারাতে চান।
BJ24নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url